দক্ষিণ এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক পালাবদলের সুযোগ কাজে লাগাতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে ইসলামাবাদ। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের উপদেষ্টারা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে আরব সাগরের তীরে একটি বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রস্তাবটি অনুযায়ী, বেলুচিস্তানের পাশনি শহরে (গোয়াদর থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে) মার্কিন বিনিয়োগকারীরা একটি টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারে, যা পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ খাতে প্রবেশাধিকার দেবে। পরিকল্পনাটি আনুষ্ঠানিক না হলেও, পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকরা এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, এই প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছিল তার সঙ্গেও আসিম মুনিরের বৈঠকের আগে। যদিও ট্রাম্প শিবির বলছে—প্রস্তাবটি নিয়ে সরাসরি আলোচনা হয়নি।
এ প্রস্তাব ছাড়াও পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে আরও কিছু বিষয়ে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে—যেমন ট্রাম্প-সমর্থিত ক্রিপ্টো উদ্যোগে অংশগ্রহণ, আফগানভিত্তিক উগ্র সংগঠনের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ, গাজা শান্তি পরিকল্পনা, এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ বাজারে অংশীদারিত্ব।
পাকিস্তানি সূত্র বলছে, পরিকল্পনাটি সামরিক ঘাঁটি নয় বরং বাণিজ্যিক উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে রেলপথে পশ্চিমাঞ্চলীয় খনি অঞ্চলগুলোকে যুক্ত করা হবে। এ বিষয়ে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।