ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু ছোটখাটো অসঙ্গতি ও ব্যবস্থাপনাগত ভুলত্রুটি থাকলেও পুরো নির্বাচনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মনে করছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোট পর্যবেক্ষণের পর সন্ধ্যায় সিনেট ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন প্ল্যাটফর্মটির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে দিনভর পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, “নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা রয়ে গেছে। প্রচুর তথ্যের গ্যাপ রয়ে গেছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে একটা সিদ্ধান্ত পাইনি। যার কারণে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, পোলিং এজেন্টদের জন্য পর্যাপ্ত পাস ইস্যু করা হয়নি, অনেক প্রার্থী যথেষ্ট এজেন্ট নিয়োগ দিতে পারেননি। ভোটারদের সহায়তায় ঘাটতি ছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে বাধাও দেওয়া হয়েছে। টিএসসি ও জগন্নাথ হলে ভোটগ্রহণ ধীরগতির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ভোট কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
এছাড়া, পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ ছিল বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তার মতে, আটটি কেন্দ্রে নিয়ম সমভাবে মানা হয়নি এবং বিভিন্ন নির্দেশনার স্পষ্টতা না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের আরেক সংগঠক তাহমিনা খানম বলেন, অনেক কেন্দ্রে লাইট, ফ্যান ও পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, “সব কিছু মিলিয়ে আমাদের যেটা মনে হয়েছে, আমরা এই যে ছোটোখাটো যা দেখেছি অসঙ্গতি বা ব্যবস্থাপনার ভুলগুলো—এর বাইরে আমরা বড় কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাইনি। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না, এটা আমাদের কখনও মনে হয়নি।”
তবে তিনি যোগ করেন, ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশের পরেই চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা যাবে। “এখন পর্যন্ত আমরা বড় কোনো অসঙ্গতি দেখিনি, সেটুকুই বলতে পারি,” বলেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।
তিনি আরও বলেন, “যে ভুলত্রুটি এবার হয়েছে, সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও পরিষ্কার নির্দেশনা, আচরণবিধি ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”


