বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ ২০ নভেম্বর। ১৯৬৫ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।
১/১১-এর সরকার এবং পরবর্তী সরকারের দুঃশাসন, নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে প্রবাসেই কাটছে এই নেতার জন্মদিন। গতবছর জুলাই-আগস্টে তারেক রহমানের দিক-নির্দেশনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে দেশে দীর্ঘ দেড় দশক পরে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে।
হাসিনার পলায়নের পর যখন দেশে সরকার শূণ্য অবস্থা তৈরি হয়, তখন তারেক রহমানই নেতাকর্মীদের পাড়া-মহল্লায় পাহাড়া বসানোর, পূজার সময় মন্দিরে সতর্ক অবস্থান, বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। এছাড়া কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দখল বা চাঁদাবাজীর অভিযোগ পেলে গ্রেফতারসহ একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নেন তিনি। দেশ ও দল নিয়ে বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে নজর কেড়েছেন সাধারণ মানুষের।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি করার পর থেকে তারেক রহমান শক্ত হাতে বিএনপির হাল ধরেন। সুদূর লন্ডন থেকে তিনি অত্যন্ত সুচারুভাবে সংগঠন পরিচালনা করছেন। ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন এবং প্রতিদিন প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করছেন।
তবে তারেক রহমান নিজেই গতবছরের মতো এবারও জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান পালন না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কঠোর বার্তা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবারও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, পোস্টার, ব্যানার লাগানো ও আলোচনা সভাসহ কোনো ধরণের আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান বা উৎসব পালন করা যাবে না। ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপি’র সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদেরকে এই দলীয় নির্দেশনাটি লঙ্ঘন না করার জন্য জোর আহবান জানানো হলো।
