বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় এবং মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এটি এ দেশে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা। এই বিপ্লবের মাধ্যমেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। তিনি উল্লেখ করেন, সেই সময় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ক্ষমতা ধরে রাখতে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হ’ত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, এই গভীর সংকটকালে ‘৭৫ এর ৩ নভেম্বর মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে কুচক্রীরা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। জাতির এই সংকটকালে ৭ নভেম্বর সিপাহী ও জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফূরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনকালকে ‘চক্রান্তের গোপন পথে’ গণতন্ত্র ধ্বং’স করার চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই সরকারের নতজানু নীতির কারণে দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়েছিল। তিনি ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা এবং গুম, খু’নসহ দুর্নীতি ও অপশাসনের ভ’য়াল রাজত্বেরও অভিযোগ করেন। তারেক রহমান ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণে এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানান।
