সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ধর্মীয় সহাবস্থানে বিঘ্ন ঘটানোর যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
💣 ককটেল বিস্ফোরণের স্থান
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানী ঢাকার মোট চারটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তবে কোথাও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি:
- মোহাম্মদপুর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার সীমানার ভেতরে এবং সামনের সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ।
- মিরপুর: গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ।
- ধানমন্ডি (মাইডাস): ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের প্রধান সড়কে মাইডাস সেন্টারের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ।
- ধানমন্ডি (ইবনে সিনা): ধানমণ্ডি-৯ এর ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ।
👮♂️ গ্রেফতার ও সরকারের পদক্ষেপ
- গ্রেফতার: সম্প্রতি ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
- জিজ্ঞাসাবাদ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল এবং সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
- অভিযান: ডিএমপি এই সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে।
- প্রতিশ্রুতি: সরকার আন্তঃধর্মীয় ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
