জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেছেন—প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো রাজনৈতিক মহলের ষড়যন্ত্রে জড়ালে জনগণ তা প্রতিহত করবে।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার জানান, আট দলীয় জোট আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করা—যেখানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং দমন-পীড়নের স্থান থাকবে না, আর নৈতিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতির সামনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পাঁচ দফা দাবির বেশিরভাগই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে। তার দাবি—জুলাই সনদ নিয়ে ব্যাপক সাংবিধানিক সংস্কারের যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে, সেগুলো জনগণকে আগে পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকার যে গেজেট জারি করেছে, তা পরিবর্তন অযোগ্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের নতুন তারিখ পুনঃনির্ধারণ করতে সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে দিনের বেলায় দুজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে—যা নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই ধরনের প্রশাসনে নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও ভোট কারচুপির ঝুঁকি থেকে যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন—সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, কোনো দলকে গোপনে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতে ভোট কারচুপিতে জড়িত নির্বাচনি কর্মকর্তাদের জবাবদিহির মুখে পড়তে হয়েছে। একই ভুল করলে আবারও পরিণতি ভোগ করতে হবে।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নেতারা বক্তব্য দেন।
